সমাজ দর্শন
ডি এম আবু বকর
শব্দের নৈপূন্যে সদা উর্ব্বর হয় কবিতার জমিন,
চাষের কলমটা লাঙ্গলের ফলার ন্যায় জাগ্রত
থাকলে জমিনে অনায়াশেই অন্কুরিত হয় বীজ।
জমিনটার গাত্রবর্ণ যেমনি হউক কলমটা স্বাধীন।
কেঁদে উঠে মগজের ভিতর বহুমাত্রিক শব্দধারা।
শব্দেরা কেউ অবহেলিত থাকতে চায় না আর,
বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে মগজের পরতে পরতে
কবিতার হুংকারে আমার শব্দেরা হয় বাঁধনহারা।
কোন শব্দটা কোথায় বসলে অনায়াশে পর্দা সরে যাবে
সত্য বেড়িয়ে অাসবে ভোরের উদিত সূর্যের মতো
আমি যতই চাই হয়না সেরকম। শব্দ সরাই শব্দ কাটি
ধর্ষকের ঘৃণিত শব্দ খুঁজি, খুঁজি ধার কত ওদের জিবে।
অবশেষে শান্ত হয় আমার প্রিয় কাঙ্খিত শব্দেরা,
মারামারি কাটাকাটি ভুলে বন্ধনে জড়িয়ে
একটা পদ্যরূপে জম্ম নেয় অন্কুরিত বীজের ভ্রুণ।
সাধুবাদ জানায় আমার অনির্বাচিত শব্দ সঙ্গীরা।
শেষতক একটা কবিতা হয়ে উঠে সমাজ দর্পন।
অশান্ত সমাজের শত ব্যবচ্ছেদ খোলাসা হয়ে
শানিত তরবারীরতে কাটা পড়ে শত অপচ্ছায়া
কিছু শব্দ একটা কবিতা শেখায় নিয়ত আখ্যান দশর্ন।